অরণ্যে আগুন মানে দাবানল। বাংলা ব্যাকারণ বইয়ের এমন বর্ণানার বাইরে দাবানল বিষয়ে এরচেয়ে বেশি ধারণা অনেকের নেই। আমেরিকা বা ইউরোপ মহাদেশে দাবালন সৃষ্টি হলে আমরা সাধারণ টেলিভিশন বা পত্রিকার মাধ্যমে দাবানলের খবর ও ছবি দেখি। যারা অনুসন্ধিসু তারা দাবনল বিষয়ে বিস্তারিত জানলেও অনেকের নেই তেমন ধারণা।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে সম্প্রতি সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ দাবানল। এ দাবালনে ইতিমধ্যে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে আন্তজার্তিক সংবাদ মাধ্যমে। খবরে জানা যায়, ইতিমধ্যে ৩১ হাজার একর এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দাবানলে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পৌনে দুই লাখের বেশি মানুষকে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
দাবানল কীঃ ইউকিপিডিয়ায় বলা হচ্ছে, বনভূমি বা গ্রামীন এলাকার বনাঞ্চলে সংগঠিত অনিয়ন্ত্রিত আগুন হচ্ছে দাবানল। বজ্রপাতসহ বিভিন্ন প্রাকৃতি কারনে দাবানল সৃস্টি হলেও বেশিভাগ ক্ষেত্রে মানুষই দাবানল সৃষ্টি করে। ক্যাম্পফায়রের আগুন বা সিগারেটের অবশিষ্টাংশ থেকে দাবাদল সৃষ্টি হয়ে থাকে। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, প্রাকৃতিক কারনে যত না দাবানলের সৃষ্টি হয় তারচেয়ে মানুষের কারনে সৃষ্ট দাবানলের সংখ্যা বেশি।
আমেরিকার বনাঞ্চলে বিভিন্ন উপায়ে আগুন লাগে বছরে এক লক্ষবার। এতে বছরে পুড়ে যায় ২০ লক্ষ হেক্টর বন। বনের শুকনো পাতার মাধ্যমে দাবানল প্রতি ঘন্টায় ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পরে। ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টাতেও সে দাবানল সহজে নিয়ন্ত্রণ হয় না।
দাবানলের কারনে মানুষের প্রাণহানিসহ অনেক ক্ষতি হলেও এর উপকারী দিকও রয়েছে। আগুণের কারনে বনের মৃত পচনশীল দ্রব্যাদ্রি পুড়ে গিয়ে শুদ্ধ হয় বনের পরিবেশ। গাছের কান্ডে জমে থাকা পুষ্টি অগ্নিকাণ্ডের পর আবারও ফেরত আসে জমিতে। এছাড়া দাবানলের কারনে বনের ন্যাচেরাল ইকোসিষ্টেম ফিরে আসে।