
প্রকাশ:
শুক্রবার, মে ২, ২০২৫ || ০২:৩৪
দেখা হয়েছে 753
মো. আব্দুল আউয়াল, ঈশ্বরগঞ্জ ( ময়মনসিংহ)
হোম /
খবর
ছবি :মুক্তদিন
যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার-১০
ঈশ্বরগঞ্জে দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ
প্রকাশ:
শুক্রবার, মে ২, ২০২৫ || ০২:৩৪
753
মো. আব্দুল আউয়াল, ঈশ্বরগঞ্জ ( ময়মনসিংহ)

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারনে দু'পক্ষের মধ্যে তুমুল
সংঘর্ষ হয়েছে। খবট পেয়ে পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় অস্ত্র।
আজ শুক্রবার (২ মে) আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরন করেছে থানা পুলিশ। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের পাড়া ডাংরী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মো. রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া(৫০) ও তার ছেলে হিমেল মিয়া(২২)সহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, আহতদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন। ঘটনারদিন রাতেই আহত রফিকুল ইসলামের ভাই মো. আনিছুল হক ভূঁইয়া বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দু'পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে থানা-পুলিশ। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. লাল মিয়া (৫৫), মো. সোহাগ মিয়া (২৬), সাব্বির আহম্মেদ মাসুম (২২), মো. লিমন আহম্মেদ (১৭), মো. সুমন মিয়া (১৫), মো. আনারুল হক (৪২), মোর্শেদুল আলম (৩৫), মো. শাহজাহান আলী (৫০), মজিবুর রহমান (৪৫), মোজাম্মেল হক (২৮)। তারা সকলেই পাড়া ডাংরী গ্রামের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন,'জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দু'পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রথমে আমরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।আসামিদেরকে গ্রেপ্তার পূর্বক উদ্ধার করে নিয়ে আসার মত পরিস্থিতি না থাকায় সেনাবাহিনীকে আসার জন্য বলা হয়। পরবর্তীতে যৌথ অভিযানের মাধ্যমে ১০ জনকে গ্রেপ্তার এবং অনেক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এবিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।