
অন্য দশটা দিনের মতো কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। মে দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে এই শ্রমিকদের কিছু জানা নেই। আজ ছুটি কিনা সেটাও জানেন না তাঁরা। তপ্ত রোদে একাগ্র চিত্তে কাজ করে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এমন সময় তিনজন কিশোর এসে তাঁদের হাতে ফুল ও নাস্তা তুলে দিলে অবাক হয়ে পড়েন শ্রমিকরা।
এ ঘটনা ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরশহরের। শহরের অলিগলি থেকে সংগ্রহ ময়লা-আবর্জনা এনে ভাগাড়ে রাখছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। দুর্গন্ধে টেকাই দায় ওই স্থানটিতে। এ সময় ঘাসফুল শিশু ফোরামের সদস্যরা ভাগাড়ের কাছে গিয়ে শ্রমিকদের হাতে রজনীগন্ধা ফুল তুলে দেন। পড়নের কাপড়ে ময়লা মুছে ফুলের স্টিকগুলো হাতে তুলে নেন শ্রমিকরা। কেউ কেউ ফুলের ঘ্রাণ নিতে ফুলে ডাঁটাগুলো নাকের কাছে তুলে ধরেন। এরপর তাঁদের তাহে প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তার প্যাকেট তুলে দেন শিশু ফোরামের সদস্যরা। আবদুল খালেক নামে এক শ্রমিক জানান, আমাদের হাতে কেউ কখনও নাস্তা তুলে দেয়নি। আমরা অভিভুত হয়ে পড়েছি।
শিশু ফোরামের সভাপতি সাব্বির হোসেন ফাহিম বলেন, তাঁদের সংগঠনটি বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের তৈরি। শিশু ফোরামের পৌরসভা, ইউনিয়ন ও স্কুল ভিত্তিক শাখা রয়েছে। এসব শাখার সদস্যরা শিশুদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে থাকে। আরেক সদস্য মো. আকাশ মিয়া জানান, ওয়ার্ল্ড ভিশন আমাদেরকে নানা বিয়য়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। আজা বৃহস্পতিবার মে দিবস। এটা শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার দিন। আরেক সদস্য কামরুন্নাহার জানান, শ্রমিকরা এখনও অবহেলিত। তাঁদের অধিকার এখন ও শতভাগ আদায় হয়নি। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে পৌরশহরের ১৫ জন শ্রমিককে ফুল ও নাস্তার প্যাকেট তুলে দিয়েছি। এ বিষয়ে অন্যরাও এগিয়ে আসবেন বলে আশা করি