রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫ ||

মুক্তদিন
হোম / খেলা

একুশে পদক গ্রহনের পর যা বললেন মারিয়া মান্দা

প্রকাশ:

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২৫ || ০১:৩৩

218

মুক্তদিন প্রতিবেদনঃ

একুশে পদক গ্রহনের পর যা বললেন মারিয়া মান্দা

ছবিঃ সংগ্রহীত

গত বৃহস্পতিবার একুশে পদক গ্রহন করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। টানা দুইবার সাফ নারী ফুটবলে চ্যাম্পিয়ান হওয়ায় নারী দলকে এ পদক দেওয়া হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে অধিনায়ক সাবিনা ও সহঅধিনায়ক মারিয়া মান্দা অন্তবর্তীকালীণ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের হাত থেকে গ্রহন করেন এ পদক।


বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক এ পদক গ্রহন করা নিয়ে মুক্তদিনের কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন সহঅধিনায়ক মারিয়া মান্দা। মারিয়া মান্দা ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর থেকে ওঠে আসা একজন কৃতি ফুটবলার। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় স্কুলের শিক্ষকের হাত ধরে ফুটবলের হাতেখড়ি। এরপর বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দলে খেলে বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার হাত থেকে একুশে পদক গ্রহনের বিষয়ে মারিয়া মান্দা বলেন, সম্মানজনক পদক গ্রহণ করার মুহূর্তটা ছিল জীবনের সবচেয়ে আনন্দের পুরস্কারটা আমরা দুজন মিলে গ্রহন করলেও এটি ছিল আমাদের দলীয় অর্জন সাফ নারী ফুটবলে আমরা টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ান হয়েছি৷ এরপর আমাদের দল এ পুরস্কার পেয়েছে।একুশে পদ গ্রহন করাটা জীবনের অন্যতম সেরা একটা দিন। এটি সারাজীবন মনে থাকবে আমার।

মারিয়া বলেন, পদক আমরা দুইজন গ্রহন করলেও ওই সময় মঞ্চে ছিলেন বাংলাদেশ নারী দলের ৩৩ জন ফুটবলার ও ৯ জন কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ নারী ফুটবলে কিংবদন্তী হয়ে ওঠতে থাকা মারিয়া মান্দা ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন।তার বাড়ি থেকে দেখা যায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড়। ছোট বেলা থেকেই তিনি ফুটবল খেলতে শুরু করেন।

মারিয়া জানান, ফুটবলের কিছুই জানতেন না তখন স্কুলের মেয়েদের জন্য সরকারি ভাবে প্রতিযোগিতামুলক ফুটবলের আসর বসেছিল সে আসরে খেলার জন্য স্কুলের মফিজ স্যার মেয়েদের নিয়ে দল গঠন করবেনওইদিন স্যারের নির্দেশে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া মারিয়া বইখাতা মাঠের পাশে রেখে নেমেছিলেন ফুটবল মাঠে তারপর অনেক দিন পেছনে চলে গেছে সময়ের ব্যবধানে অনেক সংগ্রামী গল্পকে পেছনে রেখে তিনি এখন বাংলাদেশ নারী ফুটবলের একজন অন্যতম আদর্শ হয়ে ওঠেছেন তাদের কৃতত্বের স্বীকৃতি হিসাবে দলীয় ভাবে পেয়েছেন একুশে পদক সে পদকের তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।


ছুটিতে গ্রামে আসলেও অনুশীলন করেন কলসিন্দুরের নারী ফুটবলাররা


ধোবাউড়ার কলসিন্দুর স্কুল জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশের অসংখ্য নারী ফুটবলার। সে গল্প এখন লিখিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের বুকে।কলসিন্দুরের ফুটবল রূপকথার গল্প ঠাঁই পেয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যেইয়েও।

একুশে পদক পাওয়া নারী দলের মারিয়া মান্দাসহ মোট ছয়জন ফুটবলার কলসিন্দুরের। তারা হলেন, সানজিদা, শিউলি আজিম, তহুরা, শামসুন্নাহার (ছোট) শামসুন্নাহার (বড়)

-----Ad1----