
বছরজুড়ে গাছের পাতা সবুজ।
তবে বছরে
একবার ফুল
ফোটার আগে
সব পাতা
ঝড়ে যায়। পাতা ঝড়ে যাওয়ার পর
ফোটে বড়
বড় আকারের
হলুদ রঙের
ফুল।ফুলে ফুলে
ভরে যায়
গাছ।
তখন খুব
নজর কাড়ে
গাছটি।
সাধারণত
ফেব্রুয়ারি আর মার্চের মধ্যে এ
ফুল ফোটে।বাংলাদেশে এ ফুল দেখা যায়
না বললেই চলে। কারণ ফুলের ‘বসবাস’ ল্যাটিন
আমেরিকা অঞ্চলে।
এ ফুলের নাম হলুদ ট্যাবেবুইয়া। উদ্ভিদ বিজ্ঞানিদের মতে, বাংলাদেশের হাতে
গোনা কয়েকটি
গাছ রয়েছে। তবে স্থানীয়রা গাছটির সঠিক
নাম পরিচয়
জানেন না।
ময়মনসিংহ
নগরের কাচিঝুলি
এলাকায় অবস্থিত
বিভাগীয় বন
কর্মকর্তার কার্যালয়ে রয়েছে হলুদ ট্যাবেবুইয়ার
একটি গাছ। প্রতি বছর মার্চের মাঝামাঝি
থেকে শেষ সময়ে এতে ফুল ধরলে এলাকার
মানুষ খুব
আগ্রহ নিয়ে
দেখে।
সম্প্রতি ময়মনসিংহের
এ গাছটিতে
ফুল ধরেছে।প্রতি বছরের মত এবারও
হলুদ ট্যাবেবুইয়া
দেখতে ময়মনসিংহের
বিভাগীয় বন
কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাচ্ছে মানুষ।
স্থানীয়
মানুষদের সঙ্গে
কথা বলে
জানা যায়,
ময়মনসিংহের এ গাছটির বয়স ১৫
বছরের বেশি
হবে।
তবে গত
কয়েক বছর
ধরে বসন্ত
কালে এলাকাবাসীর
নজর কাড়ে
গাছটিতে ধরা ফুল।
এলাকাবাসী ছাড়াও ফুলপ্রেমী মানুষ ও
উদ্ভিব বিষয়ে
কৌতুহরী মানুষ
গাছটি দেখতে
যান।
গতকাল
শুক্রবার ছুটি
দিনে গাছটি
দেখতে যান
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ
কর্মকর্তা কামরুল হাসান কামু।
তিনি জানান,
এ উদ্ভিদের
অন্তত ১০০টি
প্রজাতি রয়েছে। এটি সাধারণত দক্ষিণ আমেরিকা
ও ক্যারেবীয়
অঞ্চলের উদ্ভিদ। এ ফুল ফোটার এক
সপ্তাহের মধ্যে
ঝরে যায়। তখন আবারও পাতা ধরে
গাছে।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, হলুদ ট্যাবেবুইয়া ‘বিগ্লোনিয়াসি’ পরিবারের একটি উদ্ভিদ।এর বৈজ্ঞানিক নাম ট্যাবেবুইয়া সের্যাটিফোলিয়া। অনেকেই এটিকে ইয়েলো পোউই নামে ডোকে।
জানা যায়, আনুমানিক ২০ বছর আগে ময়মনসিংহ বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বিদেশ থেকে এ গাছের চারা এনে রোপন করেছিলেন।সে গাছটি এখন বড় হয়েছে। প্রতি বছর বসন্তকালে ফুল ফোটে মানুষকে মুগ্ধ করে।