
প্রকাশ:
সোমবার, এপ্রিল ১৪, ২০২৫ || ০৩:৩৯
দেখা হয়েছে 70
মো. আব্দুল আউয়াল, ঈশ্বরগঞ্জ ( ময়মনসিংহ)
হোম /
খবর
ছবি :মুক্তদিন
.
ঈশ্বরগঞ্জে আগাছানাশক দিয়ে বোরো ধান নষ্ট করার অভিযোগ
প্রকাশ:
সোমবার, এপ্রিল ১৪, ২০২৫ || ০৩:৩৯
70
মো. আব্দুল আউয়াল, ঈশ্বরগঞ্জ ( ময়মনসিংহ)

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় রাতের আধারে আগাছানাশক দিয়ে কৃষকের ধান খেত নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ক্ষতিগ্রস্ত ধান খেত দেখলে মনে হয় যেন পুরো খেত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষক। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় অন্যান্য কৃষকদের মাঝেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বুনিয়াদপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী জুবেদা খাতুন ও তার দেবর হান্নান ৬৫ শতক জমিতে এ বছর বোরো ধান আবাদ করেন। ফসলও অনেক ভালো হয়। কয়েকদিন পরেই পাকা ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছিলেন তারা।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমি নিয়ে তাদের সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত পেয়ার বকসের ছেলে মুখলেছের সাথে শত্রুতা চলে আসছিল। বিগত সরকারের সময়ে রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এককাধিকবার জমিটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এবার সে বিষ প্রয়োগে জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ এলাকার আরও কয়েকজনের জমি জোর করে দখল করে রেখেছে মুখলেছ।
জমি দখলের লক্ষ্যেই রাতের অন্ধকারে মুখলেছ গোপনে বিধবা জুবেদা খাতুনের জমিতে আগাছানাশক বিষ প্রয়োগ করে পুরো ক্ষেত পুড়িয়ে দিয়েছে। এমন অভিযোগ করেছেন জমির মালিক জুবেদা খাতুন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শীষ থেকে বের হওয়া সবুজ ধান পুড়ে হলদে হয়ে গেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন আগুনে পুড়ানো হয়েছে। কৃষানি জুবেদা খাতুন বলেন, তার স্বামী সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে বছরের পর বছর ধরে কৃষি ফসল করে আসছেন তিনি। তবে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত মুকলেছের বাড়িতে গিয়েও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওই গ্রামের আব্দুর রাশিদ, হযরত আলীসহ আরও কয়েকজন কৃষক বলেন, মুখলেছের কাজই হলো মানুষের জমি দখল করা। গ্রামের অনেক ব্যক্তির জমি সে দখল করেছে।
এবার বিধবা জুবেদা খাতুনেরর জমি দখলে নেওয়ার জন্য রাতের অন্ধকারে আগাছানাশক বিষ প্রয়োগ করে বোরো ফসল পুড়িয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার রিপা রানী চৌহান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ওই ধান ক্ষেতে আগাছানাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। এভাবে ফসল নষ্ট করার মানে কি? পরস্পর শত্রুতা থাকতে পারে কিন্তু এটা মেনে নেওয়া যায় না। আইনগত সেবা নিতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষককে থানায় যেতে পরামর্শ থাকবে। ক্ষতিটা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ ও সব ধরণের পরামর্শ দিয়ে আমরা সহযোগীতা করে যাব।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনার কথা শুনেছেন। তবে কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।