
২০১১ সালের ২৮জুন মুক্তাগাছা উপজেলার ভাবকী এলাকার বাসিন্দা হেলাল উদ্দিনকে হত্যা করেন স্ত্রী হাফিজা ও হাফিজার পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিয়ের পর স্ত্রীকে দেশে রেখে হেলাল উদ্দিন দুবাই পাড়ি জমান। স্বামী দুবাই থাকাকালীন সময়ে হাফিজা পরকীয়া সর্ম্পকে জড়িয়ে যান। এক পর্যায়ে হেলাল উদ্দিন দেশে ফিরে হাফিজার কাছে প্রবাস থেকে পাঠানো টাকার হিসাব চাইলে তাদের মধ্যে সর্ম্পকের চরম অবনতি হয়। এক পর্যায়ে খুন হন হেলাল উদ্দিন।
মামলার বিবরণ সূত্রে আরও ১৪ বছর আগে হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার নন্দিবাড়ি গ্রামের হাফিজার। বিয়ের ছয় মাসের মাথায় তাদের সর্ম্পকের অবনতি হলে তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। পরে স্থানীয়দের সালিশের মাধ্যমে আবারও তারা বিহাববন্ধনে আবদ্ধ হয়। দ্বিতীয়বার বিবাহের পর তারা হাফিজার বাবার বাড়ি নন্দিবাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। এরপর তাদের দুটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। হেলাল উদ্দিন খুন হওয়ার ৩ বছর আগে চলে যান দুবাই। হেলাল উদ্দিন দুবাই চলে যাওয়ার পর হাফিজা বিদেশ থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা বেহিসাবি ভাবে খরচ করতে শুরু করেন। এতে তার জীবনাচার বদলে যায়। হাফিজার পরিবার তাকে বাধা দিলে এক পর্যায়ে তিনি ডেসটিনি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। চাকরি নেওয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে পরকীয় সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়েন হাফিজা।
বিদেশ থেকে ফিরে হাফিজার কাছে পাঠানো টাকার হিসাবে চাওয়ায় তাদের দাম্পত্য কলহ চরম আকার ধারণ করে। ওই সময় নন্দিবাড়ি গ্রামে বসত ঘর থেকে হেলাল উদ্দিনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হাফিজা ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আসামি করেন মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন হেলাল উদ্দিনের বোন।
মামলাটির দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালতে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় মুক্তাগাছা ভাবকী এলাকার ইয়াদ আলীর মেয়ে হাফিজা খাতুন এবং ময়মনসিংহের চর ঘাঘরা এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আমৃত্যু কারাদন্ড এবং উভয়কে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। হাফিজা খাতুন এ রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।তবে আব্দুল্লাহ আল মামুন পলাতক রয়েছেন।