
প্রকাশ:
শুক্রবার, মার্চ ৭, ২০২৫ || ০৫:০৪
দেখা হয়েছে 188
মুক্তদিন প্রতিবেদনঃ
হোম /
খবর
ছবি :মুক্তদিন
ময়মনসিংহের প্রথম মিষ্টির দোকান কোনটি, কিভাবে এল মালাইকারী
প্রকাশ:
শুক্রবার, মার্চ ৭, ২০২৫ || ০৫:০৪
188
মুক্তদিন প্রতিবেদনঃ

এক সময়কার জমিদার অধ্যুষিত ময়মনসিংহে মিষ্টি জাতীয় খাবার ছিল জমিদার বাড়িতে বিশেষ প্রিয়। জমিদাররা তাদের বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নের জন্য প্রচুর পরিমাণ মিষ্টি কিনতেন। জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল আইডেনটিটি) স্বীকৃতি প্রাপ্ত মুক্তাগাছার মণ্ডা দিয়ে আপ্যায়ন করা হত মহারাজ সূর্যকান্ত আচার্যের বাড়িতে। মণ্ডার বয়স দুইশ বছর পার হয়ে গেছে।
মহারাজ সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরীর দত্তকপুত্র শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর সময় ময়মনসিংহে ঘটে মালাইকারীর প্রচলন। ময়মনসিংহের সবচেয়ে আদি মিষ্টির দোকান জানকী নাগ সুইটস থেকে প্রথম তৈরি হয় মালাইকারী।
প্রতিষ্ঠার সন তারিখ মনে নেই। তবে জানকী নাগের অন্যতম সত্বাধিকারী তপন নাগ বলেন, জানকী নাগ সুইটসের প্রতিষ্ঠা আনুমানিক ২০০ বছর আগে।
ময়মনসিংহের প্রথম মিষ্টির দোকান এ জানকী নাগ সুইটস। দোকানটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এখনও পর্যন্ত ময়মনসিংহ নগরের স্বদেশী বাজারে অবস্থিত।
জানকী নাগ বর্তমানে প্রতিষ্ঠাতার পঞ্চম পুরুষদের হাতে পরিচালিত হচ্ছে। এ দোকানটির এখন কোন জৌসুল নেই। মিষ্টির পাশাপাশি সারাক্ষণ পরোটা বানানো হয় এতে। জানগী নাগে মানুষ এখন যতটা মিষ্টির লোভে যায়, তারচেয়ে বেশি ক্ষুধার্ত মানুষ পরোটা সবজি খেয়ে ক্ষুধা মেটাতে যায়।
জানকী নাগের পঞ্চম প্রজন্মের তপন নাগ জানান, ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী মালাইকারী তৈরির ইতিহাস। তিনি জানান ১০০ বছরের বেশি সময় আগে মালাইকারী মিষ্টি প্রথম তৈরি হওয়ার গল্প। মহারাজ শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর বাড়িতে একটি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের জন্য মিষ্টির অর্ডার আসে জানকী নাগে। মহারাজ শশীকান্ত ইচ্ছা পোষণ করেন, শ্রাদ্ধের সে অনুষ্ঠানে যেন বিশেষ স্বাদের নতুন কোন মিষ্টি পাঠানো হয়। মহারাজের ইচ্ছাকে সম্মান দিয়ে জানকী নাগের তৎকালীন সত্বাধিকারী ব্রদি নারায়ণ নাগ তৈরি করেন মালাইকারী। মালাইকারীর স্বাদে খুশি হন মহারাজ। এরপর থেকে এ মিষ্টি নিয়মিত তৈরি হয় জানকী নাগ সুইটস মিটে।
মালাইকারী মিষ্টি তৈরি হয় ছানা ও ক্ষীর দিয়ে। ছানা দিয়ে প্রথমে গোলাকার মিষ্টি তৈরি করা হয়। পরে মিষ্টিটিকে মাঝ বরাবর কেটে পৃথক দুটি অংশের বুকে লাগানো হয় ক্ষীর। বর্তমানে ময়মনসিংহ শহরের সব দোকোনেই এ মালাইকারী তৈরি হয়। মালাইকারীর দাম ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা কেজি।