
প্রকাশ:
রবিবার, মার্চ ৯, ২০২৫ || ০৪:২৬
দেখা হয়েছে 112
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
হোম /
খবর
ছবি :মুক্তদিন
ময়মনসিংহের গৌরীপুর
সুলভ মূল্যের হাটে দুধ ডিমে খুশি, মাংসের দামে অসন্তোষ
প্রকাশ:
রবিবার, মার্চ ৯, ২০২৫ || ০৪:২৬
112
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

পবিত্র রমজান উপলক্ষে সুলভ মূল্যে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে বাজার দরের চেয়ে কিছুটা কম মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে। এ হাটের নামকরণ করা হয়েছে সুলভ মূল্যের হাট।
আজ রোববার সকাল ১০টায় গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ সুলভ মূল্যের হাটের উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুনন্দা সরকার প্রমা।
সুলভ মূল্যের হাটে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৯০ টাকা, ডিমের হালি ৩৫ টাকা ও দুধ ৭০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
উদ্বোধনের পরপরই সুলভ মূল্যের হাট থেকে পণ্য ক্রয় করতে স¦ল্প আয় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন ভিড় করে। তবে দুধ ও ডিমের দাম নিয়ে ক্রেতারা সন্তোষ প্রকাশ করলেও অনেকে ক্রেতাই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন
গরুর মাংসের দাম নিয়ে।
তাদের অভিযোগ, ‘ময়মনসিংহ শহর ও আশেপাশের উপজেলায় সুলভ মূল্যের হাটে গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্ত গৌরীপুরের সুলভ মূল্যের হাটে এক কেজি গরুর মাংসের দাম ৬৯০ টাকা,।
সুলভ মূল্যের হাটে পণ্য ক্রয় করতে আসা মো. মহসীন মিয়া বলেন, ‘এই হাটে ৭০ টাকা লিটার দুধ ও ৩৫ টাকায় এক হালি ডিম কিনতে পেরে আমরা খুশি। তবে গরুর মাংসের দাম নিয়ে ক্রেতাদের কিছুটা অসন্তোষ আছে। কারণ পাশের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সুলভ মূল্যের হাটে গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি এই হাটে যেন গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়’।
উপজেলা ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলিম উদ্দিন বলেন, ‘প্রত্যেক হাটে আমরা ৫০০ কেজি গরুর মাংস, ১০ হাজার পিস ডিম ও ৪০০ শ লিটার দুধ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। তিনটি পণ্যের মধ্যে এখানে গরুর মাংস ও দুধের চাহিদা বেশি,।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘পবিত্র মাহে রমজান মাস স্থানীয় ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় আমরা উপজেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে সুলভ মূল্যের হাট চালু করেছি। সপ্তাহে একদিন এই হাট চালু থাকবে। ক্রেতারা এখান থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম, দুধ ও মাংস ক্রয় করতে পারবেন’।
গরুর মাংসের দাম বেশি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য উপজেলায় সুলভ মূল্যের হাটে ভর্তুকি দিয়ে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমরা কোন ভর্তুকির পক্ষে না। কারণ একটা ভর্তুকি দিলে সিস্টেম নষ্ট হয়। আমি মনে করি ৬৯০ টাকা কেজি মাংস বিক্রি করলে খামারিরা লাভবান হবে। সাধারণ মানুষেরও উপকার হবে,।