
প্রকাশ:
বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫ || ০৬:০২
দেখা হয়েছে 152
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিবেদক
হোম /
খবর
এ নকল সোনার বারটি কিনেন বৃদ্ধা ছবি :মুক্তদিন
ময়মনসিংহের নান্দাইল
প্রতারকের খপ্পড়ে পড়ে ১২ হাজার টাকায় নকল সোনা কিনলেন বৃদ্ধা
প্রকাশ:
বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫ || ০৬:০২
152
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিবেদক

প্রতারকের খপ্পড়ে পড়ে এক বৃদ্ধা মা নকল সোনার বার কিনে ছেলের পাঠানো ১২ হাজার টাকা খুঁইয়েছেন। অভিনব উপায়ে প্রতারকরা ওই বৃদ্ধাকে বোকা বানিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রতারণার ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল শহরতলীর সরকারি পলিটেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের কাছাকাছি স্থানে।
আজ বুধবার দুপুরের দিকে বৃদ্ধার সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি নান্দাইল পৌরসভার পাঁচপাড়া মহল্লার বাসিন্দা ও একই মহল্লার আবুল হাসেমের স্ত্রী মোছা. আনোয়ারা বেগম (৬৫)। তিনি জানান, তাঁর ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (২২) রাজধানীর একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে আলমগীর ১২ হাজার টাকা পাঠান। আনোয়ারা বেগমের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যাংকিং হিসেব নাম্বারে টাকাটা পাঠানো হয়।
গতকাল মঙ্গলবার টাকা উত্তোলনের জন্য বাড়ির কিছুটা দূরে অবস্থিত একটি দোকানে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে চড়ে যাচ্ছিলেন আনোয়ারা বেগম। পথে দুজন যাত্রী উঠে বসেন একই ইজিবাইকে। তাঁদের একজন স্বর্ণের মতো দেখতে চকচকে একটি চৌকোনাকৃতি বস্তু দেখিয়ে বলেন, এটি সোনার বার। টাকার প্রয়োজন থাকায় তিনি এটি সস্তায় বিক্রির জন্য প্রস্তাব দেন। বৃদ্ধা বস্তটি কিনতে না চাইলেও ওই ব্যক্তি তাঁকে নানা কথায় প্রলোভিত করে মাত্র ২০ হাজার টাকায় সোনার বারটি বিক্রি করে দেবেন তাঁকে জানান। পরে বৃদ্ধা জানান তাঁর কাছে নগদ টাকা নেই। তাঁর ছেলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাঁর মোবাইলে ১২ হাজার টাকা পাঠিয়েছে। সেই টাকা উত্তোলন করতে তিনি দোকানে যাচ্ছেন। এ কথা বলার পর অপর প্রতারক একটি কৌটার মুখ খুলে বৃদ্ধার নাকের সামনে ধরেন।
আনোয়ারা বেগম জানান, কৌটার মুখ খোলামাত্র ভেতর থেকে পাউডারের গুড়া উড়ছিল। কিছুটা তাঁর নাকের সংস্পর্শে আসে। এরপর তিনি প্রতারকদের কথামতো তাঁর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গোপন নম্বর (পাসওয়ার্ড) বলে দেন। পরে প্রতারকরা কথিত সোনার বার ও মুঠোফোন বৃদ্ধাকে ফেরত দিয়ে সরকারি পলিটেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের কাছাকাছি নেমে যায়। তিনিও বাড়িতে চলে যান।
বাড়িতে যাবার কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পাবার পর আনোয়ারার সবকিছু মনে পড়ে। পরে তিনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের একাউন্ট ঘেঁটে দেখতে পান কোনো টাকা অবশিষ্ট নেই। প্রতারকেরা সব টাকা নিয়ে গেছে। ছেলের পাঠানো এতগুলো টাকা খোঁয়ানোর এ ঘটনায় বৃদ্ধা আনোয়ারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতারকরা আমাদের চারপাশে উঁত পেতে রয়েছে। কখন কাকে ধরে বসে তা আগে থেকে বলা যায় না। তবে যানাবহন বা অন্যকোনোস্থানে অপরিচিত লোকজনের সাথে কথা না বলা ও যেচে আলাপ করতে আসা অপরিচিত লোকজনকে পাত্তা না দিয়ে সাবধানে থাকা উচিৎ।