রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫ ||

মুক্তদিন
হোম / খবর

ময়মনসিংহের নান্দাইল

ইটভাটায় আটকে রাখা ২০ শ্রমিক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ:

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ৩, ২০২৫ || ০৭:১৩

195

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিবেদক

ইটভাটায় আটকে রাখা ২০ শ্রমিক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

ছবি :মুক্তদিন
আটকে রেখে শ্রম বিক্রিতে বাধ্য করার অভিযোগ পেয়ে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার একটি ইটভাটা থেকে ২০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল বুধবার রাতে ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়। শ্রমিক আটকে রাখার অভিযোগে মো. বিল্লাল হোসেন (৪০) ও জাকারিয়া (৩৯) নামে দুজনকে আটক করে নান্দাইল মডেল থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে সেনাবাহিনী।

থানা সূত্রে জানা যায়, শ্রমিক উদ্ধারের অভিযানে সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মতর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ও এসআই সম্রাজ উপস্থিত ছিলেন।

 সূত্রটি আরও জানায়, উপজেলার বারইগ্রামে এসআরবি ব্রিকস নামের ইটভাটাটি পরিচালনায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছিল না। নান্দাইলে একাধিক ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে জরিমানা করলেও এসআরবি ব্রিকস নামের ইটভাটাটি অনুমোদন ছাড়াই চলছিল।

অভিযোগ উঠে এই ইটভাটায় দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের আটকে রেখে শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছিল। তাঁদের মজুরিও দেওয়া হচ্ছিলনা। মজুরি চাইলে মালিকপক্ষের লোকজনের মারধরের শিকার হতো শ্রমিকরা।

শ্রমিকদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ জেলার গৌরীপুরে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অবহিত করা হয়। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে আটকে রাখা শ্রমিকদের উদ্ধার করে মুক্ত করে। পরে মালিকপক্ষের দুজনকে আটক করে করে থানায় নেওয়া হয়।

ইটভাটার মালিক মো. রুহুল আমিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি শ্রমিক আটকে রেখে শ্রম বিক্রি করার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি তাঁদের সর্দার মাসুদকে পরিশোধ করা হয়েছে। মাসুদ শ্রমিকদের মজুরির টাকা না দিয়ে পালিয়ে গেছেন। ইটভাটা চালুর রাখার স্বার্থে বাড়তি টাকা দিয়ে তিনি শ্রমিকদের কাজ করাচ্ছিলেন।  

ইটভাটার অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে রহুল আমীন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, অনুমোদনের বিষয়টি সাংবাদিকের নয়। সেটা জেলা প্রশাসনের।
নান্দাইল মডেল থানার (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন এসআরবি ব্রিকস নামে ইটভাটায় শ্রমিক উদ্ধার অভিযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

-----Ad1----