
স্থানীয়দের অভিযোগ এসব চাল সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ভর্তুকি মূল্যের (১৫ কেজি দর) চাল। এসব চাল নির্ধারিত ক্রেতাদের কাছে বিক্রি না করে পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
গতকাল সোমবার রাত দশটার দিকে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কালিয়াপাড়া বাজারের কাছে অবস্থিত কামালপুর এলাকার একটি সড়ক থেকে ট্রলিটি আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে তারা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে খবর দেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে থানায় গিয়ে দেখা যায়, চালের বস্তা ভর্তি পাওয়ার ট্রলিটি থানা চত্বরে রাখা হয়েছে। থানার একটি সূত্রে জানা যায়, ওই ট্রলিতে প্রতি বস্তায় ২৫ কেজি করে ১৭৮ বস্তা চাল রয়েছে। চালের পরিমাণ প্রায় সাড়ে চার মেট্রিক টন। সরকারি বস্তা পাল্টিয়ে চালগুলো প্লাস্টিকের বস্তায় ভরা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ বর্তমানে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বিশেষ মূল্যের (১৫ টাকা কেজি দরের) চাল বিক্রির কার্যক্রম চলছে। প্রতিমাসে খাদ্য বিভাগের তালিকাভুক্ত ক্রেতাদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে এসব চাল বিক্রি করার কথা।কিন্তু বেশিরভাগ চাল নির্ধারিত ক্রেতাদের কাছে বিক্রি না করে কালো বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।প্রশাসনের ফাঁকি দেওয়ার জন্য সরকারি বস্তা পাল্টিয়ে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে এসব চাল রাতের আঁধারে পাচার করে দেওয়া হয়।
খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির চাল বিক্রি করার জন্য চারজন ডিলার নিয়োজিত রয়েছেন। এসব দোকানে চাল বিক্রির কার্যক্রম তদারকি করার জন্য চারজন সরকারি লোক দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তারপরও বিপুল পরিমাণ চাল পাচারের ঘটনায় খাদ্য বিভাগের দায়িত্বশীলতার ঘাটতি রয়েছে বলে এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন।
ট্রাকভর্তি চাল পাচারের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য নান্দাইল উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. দেলোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
এসব চালের ক্রেতা মো. মোস্তফা মোবাইল ফোনে জানান, তিনি ৪০ টাকা দরে চাল কিনেছেন। কারা বিক্রি করেছে জানতে চাইলে মোস্তফা বলেন, যাদের প্রয়োজন নেই তাঁরাই চাল বিক্রি করে দেন। আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা সড়কের পাশে বসে চাল কিনতে গেলে দোষ কোথায়।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ২৫ কেজির ১৭৮ বস্তা চাল জব্দ করে থানায় রেখে গেছেন ইউএনও ও অ্যাসিল্যান্ড মহোদয়। এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে মামলা রুজু করা হবে।