
অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ কলেজে অনুপস্থিত থাকায় দাপ্তরিক কার্যক্রম ও পাঠদান কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে জানান শিক্ষার্থীরা।
কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধক্ষ সাজ্জাদ আহমেদ আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তি প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের ছোট ভাই। উপাধ্যক্ষ গৌতম কুমার দাস শরীফ আহমেদ ও সাজ্জাদ আহমেদের ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এ দুজন ক্ষমতার অপব্যহার করে দুর্নীতি ও অনিয়মের রাজত্ব কায়েম করেন। এ কারনে তারা বির্তকিত ছিলেন।
জানা যায়, গৌতম কুমার দাস ব্যবসায় শিক্ষা শাখার প্রভাষক ছিলেন। অধ্যক্ষকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে তিনি নিয়মবহির্ভূত উপাধ্যক্ষ হয়ে যান। প্রায় সময়ই সরকারি নিয়ম-নীতি ও নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতেন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ মিলে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ছয় মাস ধরে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকার কারণে কলেজে টি নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীগণ কোন বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কলেজের সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে কলেজের অধ্যাপক আজীজুরন্নাহার লাকীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দ্বায়িত্ব প্রদানের জন্য ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেন কলেজের শিক্ষকরা।