
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় যানজট সৃষ্টির অভিযোগে একজন বাসচালককে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লাঠিপেটা করেছেন বলে অভিযোড় ওঠেছে। এ অভিযোগে পরিবহন শ্রমিকেরা আজ মঙ্গলবার মুক্তাগাছায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীরা ইউএনওর অপসারণ দাবিতে স্লোগান দেন।
তবে পরিবহন শ্রমিকদের এ অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন মুক্তাগাছার ইউএনও আতিকুল ইসলাম।
মারধরের শিকার বাসচালকের নাম ভুলু (৫০)। তিনি মুক্তাগাছা থেকে ঢাকায় চলাচল করা ‘ইসলাম পরিবহন’ একটি বাসের চালক। আজ মঙ্গলবার সকালে মুক্তাগাছা পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইউএনও লাঠি দিয়ে ভুলকে পেটান বলে অভিযোগ।
চালক ভুলু দাবি করেন, বাস চালানোর সময় মুক্তাগাছার ইউএনও বাসে ওঠে তাকে লাঠি দিয়ে পেটান। পেটানোর সময় ভুলু বলেন, ‘আমি রোজা রেখেছি, আমাকে মারবেন মারবেন না’ কিন্তু চালকের এমন অনুরোধ উপেক্ষা করে ইউএনও তাকে পেটান বলে অভিযোগ। এ অভিযোগে মুক্তাগাছার পরিবহন শ্রমিকেরা মুক্তাগাছায় ময়মনসিংহ-টাঙ্গ্ইল মহাসড়ক অবরোধ করে ইউএনওকে অপসারণের দাবি জানান। পরে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতিতে অভরোধ তুলে নেন পরিবহন শ্রমিকেরা।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছার ইউএনও আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি কোন চালককে মারধর করিনি। সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে আমি কাউকে মারতে পারি না। মারধরের মিথ্যা অভিযোগ তুলে ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছেন তারা।
ইউএনও আরও বলেন, মুক্তাগাছায় একটি বাস টার্মিনাল রয়েছে। কিন্তু চালকেরা সে টার্মিনাল ব্যবহার না করে মহাসড়কে বাস দাঁড় করিয়ে রাখেন। এতে যানজন সৃষ্টি হয়। মুক্তাগাছার সাধারণ মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পরিবহন শ্রমিকদের বলে আসছিলাম সড়ক যানযট সৃস্টি না করে টার্মিনাল ব্যবহার করার জন্য। আজও আমি এ কথাটি বলতেই পরিবহন শ্রমিকদের কাছে গিয়েছিলাম। সেটাকেই এখন তারা ইস্যু করার জন্য মারধর করার মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।