রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫ ||

মুক্তদিন
হোম / খবর

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ

অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পরীক্ষায় পর চিকিৎসক বললেন অন্তঃসত্ত্বা নন

প্রকাশ:

বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৩, ২০২৫ || ০৭:১৭

134

মো. আব্দুল আউয়াল, ঈশ্বরগঞ্জ ( ময়মনসিংহ)

অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পরীক্ষায় পর চিকিৎসক বললেন অন্তঃসত্ত্বা নন

ছবি :মুক্তদিন
গর্ভাবস্থার লক্ষণ দেখে তা নিশ্চিত হতে এক নারীকে  ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাফির জন্য পাঠান চিকিৎসক। পরীক্ষায় রিপোর্ট আসে তিনি অন্তঃসত্ত্বা নন।

 এ ঘটনার ১২ দিনের ব্যবধানে ফের অন্য এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টে আসে তিনি সাড়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। 
এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একজন নারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।  তিনি 'টপ কেয়ার ডায়াগনস্টিক' সেন্টার নামক একটি প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত আলট্রাসনোগ্রাফি করান। 
ভুক্তভোগী নারী গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী নারীর দেওয়া আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই নারী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার তাঁকে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার জন্য টপ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠায়। পরীক্ষার পর  একজন নারী চিকিৎসক তাঁকে নিশ্চিত করে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হননি। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে গত ১১ মার্চ ' নিউ প্রান্ত ডিজিটাল ল্যাব' নামে আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাফি করান ওই নারী। এতে ধরা পড়ে সাড়ে চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। এদিকে আগের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুয়া রিপোর্ট শুনেই ক্ষিপ্ত হন ওই নারী। 

ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,' আমার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে আমি এর সঠিক বিচার চাই। কারণ, আজকে আমার সাথে হয়েছে, আরেকদিন আরেকজনের সাথে হবে। এদের উপযুক্ত শাস্তি না হলে এরা পার পেয়ে যাবে।' তবে আইনি জটিলতার ভয়ে তিনি কোন লিখিত অভিযোগ দিতে রাজি হননি।
 
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নারী চিকিৎসক বলেন, 'আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাজ হচ্ছে মানুষকে খোঁচানো। আপনি টপ কেয়ারে গিয়ে কথা বলেন। আমি আপনার সাথে কথা বলতে চাচ্ছিনা।' 
এদিকে রিপোর্ট দেখানোর পর টপ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মো. ওয়াজিন ভুল স্বীকার করে বলেন, 'এটা তো মারাত্মক ভুল করেছে চিকিৎসক। একটা রিপোর্ট আকাশ-পাতাল ব্যবধান কিভাবে হয়। ভুলের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। 

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদুল আহমেদ বলেন,' আমি টিএইচওর সাথে কথা বলেছি বিষয়টি নিয়ে।

-----Ad1----