ফাইল ছবি। মুক্তদিনময়মনসিংহের নান্দাইলে গত বুধবার বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে নান্দাইল মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
সংঘাতের এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার নান্দাইল পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক মেয়র এএফএম আজিজুল ইসলাম পিকুল ও উপজেলা যুবদলের তিন নেতাকে স্ব স্ব দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিষ্ফোরক আইনে গতকাল শুক্রবার রাতে দায়ের করা ওই মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের সকলেই বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী এবং সমর্থক বলে দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে। মামলাটির বাদী হয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা মো. আতিকুজ্জামান নওফেল।
গত বুধবার নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে দুপক্ষ কর্মসূচির ডাক দেয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরের প্রতি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। ওই সময় সংঘর্ষ স্থলে একাধিক ককটেল বিষ্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়।
পরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন কলেজ চত্বর ও আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ এ ঘটনার খবর দেশি বিদেশি (বিবিসি) গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। পরে কেন্দ্রীয় বিএনপি এ ঘটনাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সংঘাত সৃষ্টি ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাÐ বলে অভিহিত করে।
এ ঘটনায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নান্দাইল পৌর বিএনপির আহবায়ক এএফএম আজিজুল ইসলাম পিকুলকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। একই জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত চিঠিতে নান্দাইল উপজেলা যুবদলের আকরাম হোসেন ফেরদৌস, মোবারক হোসেন উজ্জ্বল জহুরুল হককে অব্যাহতি দেওয়া হয়। উল্লিখিত তিন নেতা আজিজুল ইসলামের অনুসারী বলে পরিচিত। দল থেকে অব্যাহিতর পর মামলা দায়েরের ঘটনায় এক পক্ষের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত যুবদল নেতা মো. আকরাম হোসেন ফেরদৌস জানান, ঘটনার সময় তিনি সভা সঞ্চালনা করছিলেন। তিনি ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন না। অহেতুক মিথ্যা মামলায় আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
